নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন

‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
উইকেট বেশ মন্থর, বাউন্ডারি বের করা কঠিন। ১৬০-১৬৫ রানের প‚ঁজি লক্ষ্য করেই তাই এগুচ্ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবি ডি ভিলিয়ার্স নেমে এই উইকেটেই তুললেন ঝড়। দলের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে রান নিয়ে গেলেন দুশোর কাছে। দল পেল বড় জয়। ১৯৫ রান তাড়ায় নেমে ১১২ রানে গুটিয়ে ৮২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বিরাট কোহলি বললেন, কেবল এবির পক্ষেই এমন খেলা সম্ভব।
গতপরশু শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৯৪ রান করে বেঙ্গালুরুর। অ্যারন ফিঞ্চ আউট হওয়ার পর ১৩তম ওভারে ক্রিজে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। এসেই শুরু করেন বিস্ফোরণ। এবার আইপিএলে ভীষণ কার্যকর হয়ে উঠা লো ফুলটসকেও অনায়াসে সীমানা ছাড়া করেছেন, ওয়াইড ইয়র্কার দিয়েও বোলাররা থামাতে পারেননি তাকে। মাত্র ৩৩ বলে ৫ চার, ৬ ছক্কায় ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে ওই চ‚ড়ায় নেওয়ার আসল নায়ক ভিলিয়ার্স। আরেক পাশে কোহলি মাত্র ১ বাউন্ডারিতে ২৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে।
ম্যাচ শেষে অবিশ্বাস্যের চোখে কোহলি জানালেন ভিলিয়ার্স ছিলেন কতটা দুর্দান্ত, ‘১৬৫ রানের কথা হচ্ছিল, কিন্তু আমরা ১৯৫ করে ফেলি, আপনারা জানেন কীভাবে এটা হলো। এটা অবিশ্বাস্য। আমি ভেবেছিলাম আমি স্ট্রাইক নিয়ে খেলব। সে এলো এবং তৃতীয় বলেই মেরে বলল খুব ভালো বোধ করছে। তাকে বললাম আগের ম্যাচে কি হয়েছে দেখছ (এই উইকেটের মন্থর আচরণ নিয়ে)। কেবল এবির পক্ষেই তা করা সম্ভব। এটা দুর্ধর্ষ ইনিংস। এই জিনিয়াসকে কেবল ধন্যবাদই দিতে পারি। খুবই আনন্দের যে একটা ভাল জুটি হলো। এবং আমি সেরা আসন থেকে ওর ব্যাটিং দেখলাম।’
কোহলি তো বটেই, নিজের অমন ব্যাটিংয়ে ভিলিয়ার্স নিজেই নাকি বিস্মিত, আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার মর্মপীড়া থেকেও যা তাকে দিয়েছে রক্ষা, ‘নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। এটাই বলব। গত ম্যাচে শূন্য রানে ফিরেছিলাম, খুব বাজে লেগেছিল। এখন অবদান রাখতে পারায় খুশি। আজ সত্যিই বিস্মিত নিজেকে নিয়ে। আমরা ১৪০-১৫০ রানের দিকে এগুচ্ছিলাম। আমি ভাবলাম ১৬০-১৬৫ রানের দিকে চেষ্টা করি। ১৯৫ করে ফেলায় আমি চমকে গেছি। যখন রাসেল, কামিন্সরা বল করছে আপনাকে সামর্থ্যরে পুরোটা দিয়ে মোমেন্টাম আনতে হবে। আমি কঠোর পরিশ্রম করছি সেরাটা দিতে।’ প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক যেন কিছুটা বিমূঢ়। ভিলিয়ার্সের এমন দিনে অসহায়ত্ব তার কণ্ঠে, ‘এবি বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তাকে থামানো কঠিন। এটাই দুই দলের তফাৎ করে দিল। আমরা সব কিছুই চেষ্টা করেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।